ছেলেমেয়েদের হাত থেকে কি স্মার্টফোন কেড়ে নেবেন?

টিকটক, লাইকি, আরো দুই একটা আছে, এগুলো থেকে না কেউ কোন উপকার পাচ্ছে, না পাচ্ছে সুস্থ বিনোদন। এগুলো বন্ধ করে দেওয়াই সমাধান বলে মনে করি।
এসব ঘিরে সস্তা জনপ্রিয়তার লোভে কিশোর, তরুণদের উন্মত্ত আচরণ দেখা যাচ্ছে। আর তাদের ভিডিওতে তাদের মতই কিছু ছেলেমেয়েরা লাইক দিয়ে দিলে মনে করছে তারা সেলিব্রিটি হয়ে গেছে।
লক্ষণীয় বিষয়, কিশোর, তরুণদের একটা দল সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের লাইক, রিএক্ট দিয়ে সবকিছু বিবেচনা করে। অথচ এক হাজার সস্তা লোকের সস্তা রিএক্টে কিছুই যায় বা আসে না।
অথচ তারা যে সময়টুকু ইন্টারনেটে এসব কাজে ব্যয় করছে তা এখানেই অন্য ভাল কাজে ব্যয় করতে পারতো।
আমি ছেলেমেয়েদের হাতে থেকে স্মার্টফোন কেড়ে নেওয়ার বিপক্ষে। চাঁদে যাওয়ার জন্য সে সময় যে কম্পিউটারটি ব্যবহার করা হয়েছিল সেটির চেয়ে বর্তমানে আমাদের হাতে থাকা স্মার্টফোনটি অনেক অনেক শক্তিশালী।
অনেক দেশে স্কুলের বাচ্চারা মজার মজার অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করছে, আমাদের দেশেরও অনেক বাচ্চারা এখন এটা করে। আমাদের স্কুল, কলেজের ছাত্ররা চাইলে নিজের স্মার্টফোনের সাহায্যে ওয়েবসাইট তৈরি, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি কিছুটা হলেও শেখা শুরু করতে পারে।
অভিভাবকদের এখানে করণীয় রয়েছে। অভিভাবক চাইলে বাচ্চার স্মার্টফোনে কি কি চালানো যাবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, এমনকি তার ফোন বারবার না নিয়েও এটা করা যায়, এন্ড্রয়েডে এ ব্যবস্থা আছে।
আর আমি মনে করি, স্কুলের বাচ্চারা স্মার্টফোন পেয়ে এর খারাপ ব্যবহার করলে এক্ষেত্রে অভিভাবকের খেয়াল না রাখাটাই আসলে বেশি দায়ি।
সোহান সরকার
৪ আগস্ট, ২০২০

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।