সন্তানকে হেফজখানায় পাঠানোর আগে

সন্তানকে কুরআন শেখাবেন, খুবই ভাল কথা। আমার সন্তানকেও শেখাবো ইনশাআল্লাহ। কিন্তু কুরআন শেখানোর জন্য সন্তানকে কোন অমানুষের হাতে তুলে দেওয়ার আগে একবার ভাববেন।
বিভিন্ন মাদ্রাসায় বা হেফজখানায় শিশুদের বেদম প্রহার, বলাৎকারের খবর প্রায়ই শোনা যায়। সত্যি বলতে সংখ্যাটা কম নয়, আশঙ্কাজনক বেশি।
নাবালক সন্তান যে অপরাধই করুক তাকে প্রহার করা বাবা-মায়ের জন্যও জায়েজ নেই। সেখানে কোন জানোয়ার শিক্ষকের জন্য তো প্রশ্নই আসে না।
প্রত্যেক শিশু নির্যাতনকারী জালিম। শিক্ষক যে স্থানে মারবে সেটি দোজখের আগুনে পুড়বে না, এটি যে শিক্ষক বিশ্বাস করে সে মূর্খ। এমন কথা কুরআন, হাদিসে কোথাও নেই। কেবল সন্তানকে হাফেজ বানিয়েই জান্নাতে চলে যাবে, যেসব বাবা-মা এটি মনে করে তারাও মূর্খ। জান্নাত এত সহজ জিনিস নয়, সন্তানের উপর ভর করে জান্নাতে যাওয়া যায় না, প্রত্যেকে নিজের কৃতকর্ম অনুযায়ী ফল পাবে।
সন্তানকে বড় হওয়া পর্যন্ত বাবা-মায়ের কাছে রাখার চেষ্টা করা জরুরি। পারতপক্ষে আবাসিক হেফজখানায় না দিয়ে বাসায় শিক্ষক রেখে কুরআন শেখানোর চেষ্টা করুন। আর আবাসিক হেফজখানায় দিতে হলে দেখেশুনে দেওয়া উচিত। এটিও ঠিক যে ভাল প্রতিষ্ঠান ও ভাল শিক্ষকের সংখ্যাও কম নয়।
কুরআন মুখস্থ করা কারো জন্য ফরজ নয়। জ্ঞান অর্জন প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরজ। শিক্ষক বা বাবা-মা প্রত্যেকের মূর্খতা থেকে বের হয়ে আসা জরুরি।
সোহান সরকার
১১ মার্চ, ২০২১

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।