ক্ষেত্রবিশেষে ফেসবুকে হাহা রিয়েক্ট দেওয়া হারাম, আমাদের দেশের একজন বিশিষ্ট আলেম এটি ফতোয়া দিয়েছেন।
আর এটিই আবার অনেকের কাছে হাস্যকর লাগছে, হাহা রিয়েক্ট দেওয়া নাকি আবার হারাম। মূলতো ইসলামের বিধানগুলো কিভাবে হয় বা হালাল, হারামের বিধানগুলো কিভাবে নির্ধারণ হয় এ বিষয়ে তাদের ধারণা নেই বলেই এই ফতোয়া হাস্যকর লাগছে।
অনেকে আবার দেখি আলেমদের প্রশ্ন করেন, টিভি দেখা হারাম না হালাল? প্রশ্নের মধ্যেই অজ্ঞতা প্রকাশ পায়। আমার স্মার্ট টিভিতে ইউটিউব থেকে ইসলামি ভিডিও দেখি, এটা কেবল হালালই নয়, সওয়াবের কাজ। অপরদিকে টিভিতে কেন, মোবাইলে, ল্যাপটপে যেখানেই কেউ হারাম ভিডিও দেখুক বা হারাম কাজ করুক সেটা হারাম। কেউ প্রশ্ন করে না, ল্যাপটপ চালানো হালাল না হারাম, প্রশ্নটা কেবল টিভি নিয়েই হয় কারণ একটা সময় শুধু টিভিটাই ছিল।
মসজিদে গিয়ে সুদ হারাম শুনে অনেকে হুজুরের প্রতি বিরক্ত হয়। হুজুর তো আর নিজে সুদ হারাম করেন নি, আল্লাহ্ হারাম করছেন। অনেকে বলে, সুদের টাকায় মসজিদের উন্নয়ন হচ্ছে, অনেক সুদখোর মসজিদে দান করছে, তখন কি সুদ হালাল হয়ে যাচ্ছে? এখানেও অজ্ঞতার কারণেই এমন চিন্তা মাথায় আসে। কেউ কোথাও দান করলে বা কেউ কাউকে দাওয়াত করে খাওয়ালে সেটা হালাল টাকা না হারাম টাকা থেকে করা হচ্ছে তা জানা জরুরি নয়। সে হারাম উপায়ে উপার্জন করলে সেটির দায়ভার কেবল তারই হবে। তার কাছে থেকে বৈধ উপায়ে কেউ সেই টাকাটা নিলে সেটি হারাম হওয়ার কারণ নেই।
শুধু হাহা রিয়েক্ট কেন লাভ রিয়েক্টও হারাম হতে পারে। কারো অর্ধনগ্ন ছবিতে লাভ রিয়েক্ট দিয়ে আসা তো হারামই বটে। ওই বিজ্ঞ আলেমের ফতোয়া ছিল, কাউকে বিদ্রুপ করে হাহা রিয়েক্ট দিলে সেটি হারাম। কাউকে বিদ্রুপ করা যে হারাম এতে কোন সন্দেহ থাকার কথা না। সুতরাং বিদ্রুপের উদ্দেশ্যে হাহা রিয়েক্ট দিলে সেটি হারাম হবে এটিই স্বাভাবিক।
কেবল হাহা রিয়েক্ট নয় এমন আরো অনেক ফতোয়া সামনে আসতে পারে। ভবিষ্যতে আরো নতুন যত কিছুই আসুক তার সম্পর্কেও ফতোয়া আসবে। ইসলাম অবশ্যই পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।
সোহান সরকার ২৬ জুন, ২০২১