আমাদের দেশের জর্দা খাওয়া হুজুরদের কাছে সিগারেট খাওয়া মাকরুহ। আর ‘মাকরুহ’ কথাটি তারা এমনভাবে বলেন যেন এটি এক প্রকার হালাল।
একটা সময় এমন ছিল, টিভিতে ধারাভাষ্যকার ধূমপান করা অবস্থায় খেলার ধারাভাষ্য দিতেন। রাজনৈতিক নেতারাও সাক্ষাৎকারের সময় একই কাজ করতেন। মূলতো তখনো মানুষ ধূমপানের ভয়াবহতা সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারে নি।
এখন টিভিতে ধূমপানের কোন দৃশ্য দেখালে নিচের দিকে সতর্কতামূলক লেখা থাকে, “ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।” তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ। সিগারেটের প্যাকেটেই লেখা থাকে, এটি মৃত্যুর কারণ।
যে জিনিস মৃত্যুর কারণ হতে পারে কোন সন্দেহ ছাড়াই সেটি খাওয়া ইসলামে হারাম। তাই বর্তমান বিশ্বের ইসলামিক বিশেষজ্ঞদের মতে ধূমপান হারাম। তারা হাদিস বিশ্লেষণ করেই এই ফতোয়া দিয়েছেন। শুধু হারামই নয় এর শাস্তির কথাও হাদিসে বিভিন্নভাবে বলা আছে।
যারা ধূমপান করছেন তারা হারাম খাচ্ছেন। তাদের উচিত এটি ছেড়ে দেওয়া, অন্ততপক্ষে স্বীকার করা যে এটা হারাম। কোন বিধান না মানা আর না স্বীকার করার মাঝে অনেক পার্থক্য।
যাই হোক, বিশিষ্ট আলেমদের মতে ধূমপান হারাম হলেও জর্দা খাওয়া মোল্লাদের কাছে এটা মাকরুই। তাদের কাছে প্ৰমাণও আছে। প্রমাণ ওই যে ধারাভাষ্যকার, রাজনীতিবিদরা যখন ক্যামেরার সামনে ধূমপান করতেন তখনকার সময়ের ফতোয়াগুলো। এখন নতুন করে এসব বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করার ইচ্ছা বা যোগ্যতা তাদের নেই।
ধূমপান ছেড়ে দেওয়াটা মোটেও অসম্ভব নয়। জন্মের পর থেকে আব্বাকে দেখতাম সিগারেট খেতেন। গত এক বছরের বেশি সময় হল আলহামদুলিল্লাহ একটা সিগারেটও খান নি। ইচ্ছা থাকলে নিশ্চয়ই পারা যায়।
ধূমপানকে না বলুন, নিজে সচেতন হোন, অন্যকে সচেতন করুন।
সোহান সরকার ১৫ জানুয়ারি, ২০২২