সাকিবের বাচ্চা মেয়ের ছবিতে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা ব্যক্তিদের একজন নাকি মাদ্রাসার শিক্ষক।
এ নিয়ে কথা বলতে গেলে অনেকে বলে উঠতে পারে, দোষ তো বাকিরাও করলো, একজন মাদ্রাসার শিক্ষক পেলেন আর তাকে নিয়ে কথা বলা শুরু করলেন?
কেন অন্যদের আগে মাদ্রাসার শিক্ষককে নিয়ে কথা বলা উচিত, বলছি।
প্রথমত তিনি একজন শিক্ষক, সমাজে সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে ঘুরে বেড়ান। আর সবচেয়ে বড় কথা, তিনি মাদ্রাসার শিক্ষক, মানে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। কোথায় তার কাছে মানুষ ভাল কিছু শিখবে, সে নিজেই নিচু মানসিকতার অধিকারী।
টুপি, পাঞ্জাবি পরা এসব লোকদের আমরা হুজুর বলে সম্বোধন করে থাকি। ফার্সী, উর্দু ও আমাদের বাংলা ভাষায় ‘হুজুর’ একটি সম্মানসূচক শব্দ; স্যার, জনাব, মহাশয় শব্দগুলো যেমন সম্মানসূচক। এটি যদিও প্রকৃত জ্ঞানী ও ভাল লোকদের বেলায় ব্যবহার হওয়া উচিত, আমাদের দেশে হুজুর হওয়া বেশ সহজ। বেশভূষা দেখেই আমরা কাউকে হুজুর বলি, ভেতরে কিছু থাকুক আর না থাকুক।
ধর্মীয় বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে যান, আপনি যতই সঠিক বলুন, পাশে পাঞ্জাবি পরা একজন ব্যতিক্রম বললে লোকে তারটাই বিশ্বাস করতে চাইবে, যেন বিশাল পাঞ্জাবি পরলে তার ভেতরে এমনিতেই জ্ঞান চলে আসে। অথচ এই পোশাকটি নির্দিষ্ট করে ধর্মীয় পোশাক বা এটি পরতে বলা হয়েছে এমনটি নয়। অরবদের যে পোশাকটি আমাদের দেশের মানুষ ইসলামী পোশাক বলে মনে করছে, আরবের কাফিররাও সেই একই পোশাক পরতো। পোশাকটি কেবল আঞ্চলিক পোশাক মাত্র। তবে এমন না যে এটি পরা উচিত নয় বলছি, কেউ চাইলে পরতেই পারে, পোশাকটি সুন্দর এতে কোন সন্দেহ নেই।
পোশাকের প্রসঙ্গ এ জন্য আনছি যে এই পোশাক ব্যবহার করে কেউ কেউ বিশেষ ফায়দা লুটতে চায়। বেশভূষায় বিশাল আলেম সাজলেও ভেতরে একজন অমানুষ, একজন ধর্ষক বাস করতে পারে। এরা মাদ্রাসায় পড়া লোকও হতেই পারে। মাদ্রাসায় পড়লেই কেউ ভাল মানুষ হয়ে যায়, এমনটি নয়।
আমি মনে করি, এসব নামধারী আলেমরা অপরাধ করলে শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে কঠোর হওয়া উচিত। কারণ এদের দেখে প্রকৃত আলেমদের সম্পর্কে, এমনকি ইসলামের সম্পর্কে মানুষের বিরূপ ধারণা হতে পারে।
সোহান সরকার ২৩ আগস্ট, ২০২০