যে দশটি কারণে আইএডিএস থেকে এমবিএ করবেন

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অধীনে কৃষিব্যবসা ও উন্নয়ন শিক্ষা ইনস্টিটিউটে (আইএডিএস) এমবিএ ইন এগ্রিবিজনেস বিষয়ে প্রতি সেমিস্টারে ৩০ টি আসনের বিপরীতে বছরে ২ বার শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। ২০২১ সাল থেকে ইনস্টিটিউটটিতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরাও ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন।

যুগের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন পর্যায় থেকে অনেকেই এখন চান এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করতে। যে কারণে দেশে রেগুলার এমবিএ এর পাশাপাশি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই এখন প্রফেশনাল এমবিএ বা ইভিনিং এমবিএ প্রোগ্রাম চালু করেছে।

এসবের মধ্য থেকে আপনি কেন ইনস্টিটিউট অভ্ এগ্রিবিজনেস এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (আইএডিএস) এমবিএ বেছে নেবেন? চলুন দেখে যাক এর সম্ভাব্য ১০ টি কারণ:

১. এটি বাকৃবির নিয়মিত মাস্টার্স প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত, যেটি কোন প্রফেশনাল বা ইভিনিং প্রোগ্রাম নয়।
২. নিয়মিত এমবিএ প্রোগ্রাম হওয়ায় শেখার ও বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা অর্জনের সুযোগ বেশি থাকে।
৩. দেশের অন্যতম বৃহৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়।
৪. বাকৃবির অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মতোই আবাসিক হলে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে আবাসন সুবিধা পাওয়া যায়।

৫. তুলনামূলক সবচেয়ে কম টিউশন ফি দিয়ে এমবিএ সম্পন্ন করা যায়।
৬. পড়ালেখার পাশাপাশি মনোরম পরিবেশ ও দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাস জীবন উপভোগ করা যায়।
৭. ইনস্টিটিউটের অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী ছাড়াও বাকৃবির অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের অত্যন্ত দক্ষ এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা ক্লাস পরিচালিত হয়।

৮. নিজেকে কৃষি ব্যবসার একজন উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ তৈরি হয়। এছাড়াও কর্পোরেট সেক্টরে এই এমবিএ এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৯. এগ্রিবিজনেজে এমবিএ ডিগ্রী অর্জনের পর বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ তৈরি হয়।
১০. আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের সম্ভাব্য শীর্ষ কনজ্যুমার নেশনের একটি হতে যাওয়ায় কৃষিব্যবসায় আরো নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হতে পারে।

আইএডিএস এ সামার সেমিস্টারের ভর্তির আবেদন সংগ্রহ ও ভর্তি পরীক্ষা সাধারণত ফেব্রুয়ারি-মার্চ, এবং উইন্টার সেমিস্টারের ভর্তির আবেদন সংগ্রহ ও ভর্তি পরীক্ষা আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে হয়ে থাকে। ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় এসসিকিউ ও লিখিত এই দুই ধরণের প্রশ্ন হয়ে থাকে। ৫০ নম্বরের এসসিকিউ এর মধ্যে কমিউনিকেশন এ্যাবিলিটি ২০ এবং এনালিটিক্যাল এ্যাবিলিটি ও গণিতে ৩০ নাম্বার থাকে। আর ৫০ নম্বরের লিখিত অংশে কৃষি ব্যবসা, কৃষি অর্থনীতি সম্পর্কিত ও ইন্টারপারসোনাল স্কিল বিষয়ক কিছু প্রশ্ন থাকে।

রেগুলার প্রোগ্রাম হওয়ায় এখানে ক্লাসগুলো ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন রুটিন অনুযায়ী হয়ে থাকে।

ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যাবলি, টিউশন ফি ও অন্যান্য তথ্য ইনস্টিটিউট অভ্ এগ্রিবিজনেস এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের ওয়েবসাইট iads.bau.edu.bd এ পাবেন।

কৃষি ব্যবসার সম্ভাব্য উজ্জ্বল ভবিষ্যত বিবেচনায় এমবিএ ইন এগ্রিবিজনেস হতে পারে নিকট আগামীর উল্লেখযোগ্য কাঙ্ক্ষিত ডিগ্রী। আর কৃষি শিক্ষার পথিকৃৎ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করার সুযোগটি এখনই বেছে নেওয়া হতে পারে আপনার জন্য অন্যতম সঠিক একটি সিদ্ধান্ত।

মোঃ সোহানুর রহমান (সোহান সরকার)
ইঞ্জিনিয়ার, লেখক ও উদ্যোক্তা
এমবিএ শিক্ষার্থী, আইএডিএস, বাকৃবি

 

এই লেখাটি ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে ক্যাম্পাসলাইভে প্রকাশিত হয়। লেখাটি দেখতে ক্লিক করুন:

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।